অনুচ্ছেদ নং- ১ সংস্থার নাম :
এই সংস্থার নাম হবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন। সংক্ষেপে ‘ক্র্যাব’ । ইংরেজিতে : Crime Reporter’s Association of Bangladesh ms‡ÿ‡c (CRAB)
অনুচ্ছেদ নং – ২ কার্যালয় :
সংস্থার বর্তমান ঠিকানা হবে ৮৪/এ, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০ । তবে এই ঠিকানা পরিবর্তিত হলে ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং -৩ কর্ম এলাকা :
সংস্থার কর্ম এলাকা ঢাকা জেলায় সীমাবদ্ধ থাকবে। নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এর কর্মপরিধি বাংলাদেশের অন্য জেলায় বা সমগ্র বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করা যাবে।
অনুচ্ছেদ নং-৪ রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য :
এ সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা হিসাবে নিবন্ধীত হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৫ প্রকৃতি ও ধরণ :
ক) রাজধানী ঢাকায় কর্মরত সব জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, দেশি-বিদেশি বার্তা সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিও এবং আঞ্চলিক দৈনিকের ঢাকা ব্যুরো অফিসে ‘অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং’-এ পেশাদারিত্বের সাথে সার্বক্ষণিক কর্মরত রিপোর্টারদের নিয়ে গঠিত হবে এ সংগঠন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকেই সরকার থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। ‘বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন।
অনুচ্ছেদ নং – ৬ সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
ক) সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতা।
খ) সংগঠনের সদস্যদের পেশাগত মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিভা বিকাশ ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহযোগিতা বাড়ানো।
গ) সংগঠনের সদস্যদের জন্য কল্যাণকর কর্মসূচি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঘ) সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। ঙ) উপরে উল্লেখিত লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছাড়াও সংস্থা পরবর্তীতে সময়ের সাথে সংগতি রেখে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর তফসিলে বর্ণিত কার্যক্রমসমূহের মধ্য থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়িত করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৭ : সংগঠনের প্রতীক বা লোগো :
এই সংগঠনের একটিমাত্র প্রতীক বা লোগো থাকবে। লোগোতে ওপরের অংশে অর্ধ বৃত্তাকারে বাংলায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন এবং নিচের অংশে অর্ধ বৃত্তাকারে ইংরেজিতে ঈৎরসব জবঢ়ড়ৎঃবৎ’ং অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ইধহমষধফবংয লেখা থাকবে। লোগোর বাম পাশে বড় হাতের (ক্যাপিটাল লেটার) ইংরেজি অক্ষরে ঈজঅই লেখা থাকবে। বৃত্তাকার লোগোর বাইরের অংশে ডান পাশে অর্ধ বৃত্তাকারে সবুজ রঙের, এর ভেতরে সাদা রঙের, এর ভেতরে কালো রঙের এবং ভেতরে লাল রঙ থাকবে। লাল রঙের মাঝখানে ঊর্ধ্বমুখী সাদা রঙে কলমের নিব থাকবে; যা সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হবে। বৃত্তের মধ্যে লাল ও সবুজ রঙ জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে। সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার মধ্য দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে লোগোর সাদা ও কালো রঙ।
অনুচ্ছেদ নং – ৮ : সদস্যগণের শ্রেণীবিভক্তি :
এই সংস্থায় ৪ (চার) প্রকারের সদস্য হওয়ার সূযোগ থাকবে।
ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, খ) আজীবন সদস্য, গ) পৃষ্ঠপোষক সদস্য ও ঘ) সাধারণ সদস্য
ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য :
যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্ঠা ও শ্রমের বিনিময়ে এই সংস্থা গঠিত হয়েছে তারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন । প্রতিষ্ঠাকালে তাদের নিয়ে একটি তালিকা গঠন করা হবে। সংস্থার বিলুপ্তিকাল পর্যন্ত এই তালিকার হেরফের হবে না । তাদের নাম সংস্থা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আজীবন সংরক্ষণ করবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্য যে কোন প্রকার সদস্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে । তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে ।
খ) আজীবন সদস্য :
কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে যে সকল ব্যাক্তিবর্গ সংস্থার উন্নতিকল্পে এককালীন কমপক্ষে ১০,০০০/= (দশ হাজার ) টাকা অথবা সমমূল্যের সম্পদ সংস্থার তহবিলে অনুদান হিসাবে প্রদান করবেন তারা আজীবন সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। আজীবন সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে। তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে না। সাধারণ পরিষদ এককালীন অনুদানের টাকার অংকের হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।
গ) পৃষ্ঠপোষক সদস্য :
সমাজসেবামুলক কাজে সুপরিচিত কোন ব্যক্তি অথবা সমাজসেবায় আগ্রহী কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এই সংস্থার অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে তিনি বা তারা পৃষ্ঠপোষক সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। পৃষ্ঠপোষক সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে না। তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে না। সংস্থার উন্নতিকল্পে বা সমাজসেবামূলক কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য তারা কার্যকরী পরিষদকে পরামর্শ দিতে পারবেন।
ঘ) সাধারণ সদস্য :
জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার ঢাকা ব্যুরো, দেশি ও বিদেশি বার্তা সংস্থা, সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে (টিভি, রেডিও) ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর সার্বক্ষণিক বা নিয়মিত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং করছেনÑ এমন ক্রাইম রিপোর্টাররা এ সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এই সংস্থায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে ভর্তি ফিস বাবদ ১০০০/=(এক হাজার) টাকা প্রদান করে নির্ধারিত আবেদনপত্রে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তাকে এই সংস্থার সাধারণ সদস্য হিসাবে গণ্য করা হবে। সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে। তাদের মাসিক ১০০০/- টাকা হারে চাঁদা দিতে হবে । সাধারণ পরিষদ মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফিসের টাকার অংকের হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৯ : সদস্য হওয়া এবং সদস্যপদ বাতিল/স্থগিত হওয়ার কারণ:
ক) জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার ঢাকা ব্যুরো, দেশি ও বিদেশি বার্তা সংস্থা, সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে (টিভি, রেডিও) ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর সার্বক্ষণিক বা নিয়মিত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং করছেনÑ এমন ক্রাইম রিপোর্টাররা এ সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই সুযোগ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যারা শুধু সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়ের বিট করার সুবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করে থাকেন। কোর্ট রিপোর্টিংয়ের সুবাদে বা সংশ্লিষ্টতায় কোনো অপরাধবিষয়ক রিপোর্ট করলেও তিনি সেগুলো দেখিয়ে এ সংগঠনের সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না বা সদস্য হতে পারবেন না।
খ) সদস্য পদ পেতে আগ্রহী ক্রাইম রিপোর্টাররা সংগঠনের দফতর থেকে ফরম সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গ) সংগঠনের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই ন্যূনতম স্নাতক হতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
ঘ) সদস্য পদের আবেদনপত্রের সঙ্গে দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বছরে স্বনামে প্রকাশিত ৬ (ছয়টি) বিশেষ প্রতিবেদনের কাটিং; বার্তা সংস্থা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত ক্রাইম রিপোর্টারদের স্বনামে ৬ (ছয়টি) নিউজের প্রিন্ট কপি এবং রেডিও ও টেলিভিশনে কর্মরত রিপোর্টারদের ৬ (ছয়টি) প্যাকেজের স্ক্রিপ্টসহ সিডি জমা দিতে হবে। রিপোর্টের শেষে থাকা কোনো সংক্ষিপ্ত নাম বা ইনিশিয়ালের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঙ) আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রাইম রিপোর্টারের পেশায় নিয়োজিত থাকার স্বপক্ষে নিয়োগপত্রের ফটোকপি কিংবা সম্পাদক বা বার্তা সম্পাদকের স্বাক্ষরকৃত প্রত্যয়নপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ৩ (তিন) কপি ছবি জমা দিতে হবে। এ ছাড়াও তিনি কবে থেকে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে কাজ শুরু করেছেন তার প্রমাণ হিসেবে জয়েনিং লেটারের ফটোকপি (সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রশাসনিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা সত্যায়িত) জমা দিতে হবে।
চ) সদস্য পদের জন্য জমাকৃত আবেদনপত্রগুলো সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করবে ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি বাছাই কমিটি। কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ৪ (চার) এবং সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে ১ (এক) জনকে নিয়ে বাছাই কমিটি গঠিত হবে। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হবেন বাছাই কমিটির আহ্বায়ক। কার্যনির্বাহী কমিটির ১ (এক) নম্বর সদস্য হবেন সদস্য সচিব। বাছাই কমিটি বছরে দুই থেকে তিনটি বৈঠকে বসে সদস্য পদের আবেদনপত্রগুলো সতর্ক ও নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করে সদস্যপদ প্রদানের সুপারিশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) জনকে নতুন সদস্য পদ দিতে পারবে। কোনোভাবেই এটা ৫ (পাঁচ) জনের বেশি হবে না। তা ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রতি বছর সদস্যপদ দিতেই হবেÑ এমন কোনো বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। ৫ (পাঁচ) জনের বেশি সদস্য পদ দেওয়া হলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।
ছ) প্রাথমিক বাছাই শেষে নতুন সদস্যদের নামের খসড়া তালিকা কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে পেশ করতে হবে। একই সময়ে তা সাধারণ সদস্যদের অবগতির জন্য ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সংগঠনের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে। খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোনো সদস্যের ব্যাপারে সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ, আপত্তি কিংবা কোনো মতামত থাকলে তালিকা প্রকাশের ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে তা লিখিতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবরে জানাতে হবে। তবে এই আপত্তি কী কারণে সেটি সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। নোটিশ বোর্ডে নতুন সদস্য পদের খসড়া তালিকা প্রকাশের ৭ (সাত) দিন পর কার্যনির্বাহী কমিটি সভা ডেকে অভিযোগ, আপত্তি ও মতামতের বিষয়টি পর্যালোচনা করে নতুন সদস্য পদের তালিকা চূড়ান্ত করবেন। সদস্য পদ লাভের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর তা চিঠি দিয়ে নতুন সদস্যদের সদস্য প্রাপ্তির বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটি জানিয়ে দেবেন। সদস্য পদ প্রাপ্তির তালিকাটি একই সঙ্গে নোটিশ বোর্ডে উপস্থাপন করতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) জনকে সদস্য পদ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সরাসরি কাউকে স্থায়ী সদস্য পদ দেয়া যাবে না।
জ) সদস্য পদ লাভের জন্য কেউ যদি জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয় কিংবা সদস্য পদের আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য কিংবা ভুয়া বা জাল কাগজপত্র সরবরাহ করেন, তা হলে তার সদস্য পদ লাভের আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং তিনি আজীবনের জন্য সংগঠনের সদস্য পদ লাভের সুযোগ হারাবেন। এমনকি সদস্য পদ পাওয়ার পরও যদি জাল-জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে নির্বাহী কমিটি তার সদস্য পদ বাতিল করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ নং – ১০ : বাতিলকৃত সদস্যের পুনরায় সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী :
ক) কার্যকরী পরিষদের সভাপতির নিকট যে সদস্য নিজে সদস্যপদ বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
খ) বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি আদালত কর্তৃক আবার উক্ত ঘোষণা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
গ) ৬ (ছয় ) মাসের মাসিক চাঁদা বকেয়া থাকার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি ৬ (ছয় ) মাসের মাসিক চাঁদা পরিশোধ করে পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
ঘ) মেডিক্যাল বোর্ড বা বিএমডিসির সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার দ্বারা কোন সদস্য উন্মাদ / পাগল বলে ঘোষিত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি মেডিক্যাল বোর্ড দ্বারা আবার সুস্থ বলে ঘোষণা করার পর তিনি পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
ঙ) বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি উচ্চতর আদালতের মাধ্যমে উক্ত সাজা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পুণরায সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
চ) অন্যান্য কারণে কারো সদস্যপদ বাতিল হলে যদি তিনি পুণরায সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন তাহলে তার সদস্য প্রদানের বিষয়টি কার্যকরী পরিষদে উত্থাপিত হবে। কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক আবেদন অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ নং – ১১ : শাস্তিমূলক ব্যবস্থা :
গঠনতন্ত্রের ৯ নং ধারায় বর্ণিত কারণে বা অপর কোন বিশেষ কারণে সংস্থার কোন সাধারণ সদস্য অথবা কার্যকরী পরিষদের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন অনুভূত হলে অভিযোগকারীকে/অভিযোগকারীদেরকে কার্যকরী পরিষদের সভাপতির নিকট লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক দরখাস্ত করতে হবে। বিষয়টি কার্যকরী পরিষদের পরবর্তী সভায় উত্থাপিত হবে। কার্যকরী পরিষদ অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবে অথবা প্রয়োজন মনে করলে কার্যকরী পরিষদের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন সদস্যদের নিয়ে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করবে । উক্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এর ভিত্তিতে কার্যকরী পরিষদ সভায় বসে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
অনুচ্ছেদ নং – ১২ : সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো :
সংস্থার সকল কার্যাবলী সাধারণ পরিষদ ও কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হবে।
ক) সাধারণ পরিষদের গঠন ও কর্মপরিধি :
১) সংস্থার সকল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাধারণ সদস্য এবং আজীবন সদস্যদের নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে।
২) সাধারণ পরিষদ সংস্থার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবে।
৩) সাধারণ পরিষদ সংস্থার নীতি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করবে।
৪) সাধারণ পরিষদের নিকট কার্যকরী পরিষদকে জবাবদিহি করতে হবে।
৫) সাধারণ পরিষদ কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন ও কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করবে।
৬) গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সাধারণ পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে হবে।
৭) কার্যকরী পরিষদ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদ উক্ত ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিবে। সাধারণ পরিষদ ব্যর্থ হলে এক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
খ) কার্যকরী পরিষদ :
কার্যকরী পরিষদ সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ। সংস্থার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ১৫ (পনের) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। কার্যকরী পরিষদের কাঠামো নিম্নরূপ হবে ।
ক্রঃ নং পদের নাম পদ সংখ্যা
১ ২ ৩
১ সভাপতি ০১ জন
২ সহসভাপতি ০১ জন
৩ সাধারণ সম্পাদক ০১ জন
৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ০১ জন
৪ অর্থ সম্পাদক ০১ জন
৪ সাংগঠনিক সম্পাদক ০১ জন
৪ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ০১ জন
৪ দফতর সম্পাদক ০১ জন
৪ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ০১ জন
৫ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ০১ জন
৬ আইন ও কল্যাণ সম্পাদক ০১ জন
৬ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ০১ জন
৬ কাযনর্বিাহী সদস্য ০৩ জন
অনুচ্ছেদ নং – ১৩ : কার্যকরী পরিষদের দাায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা :
(ও) সভাপতি :
ক) সংগঠনের মূল প্রতিনিধিত্ব করবেন।
খ) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সভা ও সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে পরামর্শ বা নির্দেশনা দেবেন। তিনি সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সভার কার্যবিবরণীসহ গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন। এই কার্যবিবরণী, সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাব সত্যয়ন বলে গণ্য হবে।
গ) সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ সম্পাদককে পরামর্শ দেবেন।
ঘ) নির্বাহী কমিটি প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে কিছু দায়িত্ব সহসভাপতির ওপর অর্পণ করতে পারবেন।
ঙ) সংগঠনের অফিস পরিচালনার জন্য বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিযুক্তি ও তাদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, ছুটি ও শৃঙ্খলা বিধানে সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেবেন।
চ) নিজের দায়িত্ব ও কাজের জন্য নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
ছ) সভাপতির যেকোনো বিষয়ে রুলিং দেয়ার অধিকার থাকবে। তবে এই রুলিং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে হতে হবে।
(ওও) সহ-সভাপতি :
ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভা পরিচালনা করবেন। সভাপতির পদ শূন্য হলে তিনি সভাপতির (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করবেন এবং সভাপতির ন্যায় কার্যাদি পালন করতে পারবেন।
খ) সভাপতিকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবেন।
গ) নির্বাহী কমিটি প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ) সংগঠনের কল্যাণ তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব তদারকি করবেন।
ঙ) সহ-সভাপতি তার সব কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
চ) সংগঠনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত বিষয়গুলো তিনি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করবেন।
(ওওও) সাধারণ সম্পাদক :
ক) সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) সভাপতির পরামর্শক্রমে সভা আহ্বান, সংগঠনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সভা আহ্বান ও সংগঠনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ) সভাপতির সাথে আলোচনাক্রমে তিন দিনের নোটিশে কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবেন। তবে জরুরি প্রয়োজন ও পরিস্থিতিতে ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার নোটিশে জরুরি সভা আহ্বানের এখতিয়ার তার থাকবে।
ঙ) এই গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী এবং নির্বাহী কমিটি প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) বিশেষ প্রয়োজনে সভাপতির সাথে আলোচনাসাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে তা পরবর্তী কমিটির সভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
ছ) প্রয়োজনে সাধারণ সম্পাদক তার কোনও দায়িত্ব বা কাজ যুগ্ম সম্পাদকের কাছে অর্পণ করতে পারবেন।
জ) সংগঠনের খরচের বিল ও ভাউচার অনুমোদন করবেন।
ঝ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত বার্ষিক প্রতিবেদন সাধারণ সভা কিংবা বিশেষ সভায় পেশ করবেন।
ঞ) নিজ কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি এজিএম বা ইজিএমে সাধারণ সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ওঠ) যুগ্ম সম্পাদক :
ক) সাধারণ সম্পাদককে তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবেন।
খ) এই গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হলে বা তিনি দায়িত্ব পালনে সাময়িকভাবে অপারগ হলে বা অনুপস্থিত থাকলে যুগ্ম সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদক সক্রিয় হলে যুগ্ম সম্পাদক তার স্ব-দায়িত্বে ফিরে যাবেন।
গ) কার্যনির্বাহী কমিটি প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সম্পাদক। সব কাজের জন্য তিনি কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঠ) অর্থ সম্পাদক :
ক) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে তিনি সংগঠনের তহবিল, আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা ও সংরক্ষণ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তিনি আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করবেন।
খ) সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা ও কল্যাণ তহবিলের চাঁদা আদায় তত্ত্বাবধান করবেন।
গ) কার্যনির্বাহী কমিটিতে সাধারণ সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করার পর বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করে সেই রিপোর্ট পেশ করবেন। এ ছাড়াও তিনি ৩ (তিন) মাস পরপর আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী সাধারণ সদস্যদের কাছে ই-মেইলে প্রেরণ করবেন।
ঘ) কল্যাণ তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঠও) সাংগঠনিক সম্পাদক :
ক) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
খ) সদস্যপদের আবেদন বাছাই কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াও বাছাই কমিটির সব প্রতিবেদন ও সুপারিশ নির্বাহী কমিটির কাছে উপস্থাপন করবেন।
গ) যেকোনো অভিযোগের বিষয়ে তদন্তসংক্রান্ত সব প্রতিবেদন ও সুপারিশ নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করবেন।
ঘ) শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে মূল দায়িত্ব পালন করবেন এবং সংগঠনের যেকোনো দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।
ঙ) এই গঠনতন্ত্রের বিধানাবলিসাপেক্ষে এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঠওও) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক :
ক) প্রচার ও প্রকাশনাসংক্রান্ত সব দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও সংগঠনের স্বার্থে প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি, প্রচারপত্র, বার্তা, স্যুভেনির, পুস্তিকা, সদস্যদের নাম-ঠিকানা তালিকাভুক্ত, সভার নোটিশ, আমন্ত্রণপত্র, চিঠিপত্র তৈরি ও বিলিবণ্টন এবং স্মরণিকা প্রকাশের ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা ও পরামর্শ দেবেন। এ-সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্র যেমন ডায়েরি, টেলিফোন গাইড প্রকাশের দায়িত্ব পালন করবেন। পুস্তিকা, ম্যাগাজিন বা স্যুভেনির ছাপানোর ক্ষেত্রে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোটেশন দাখিল করতে হবে। তারপর সেগুলো নির্বাহী কমিটিতে পেশ করতে হবে। এ ব্যাপারে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
খ) সব কাজের জন্য নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঠওওও) দফতর সম্পাদক :
ক) সংগঠনের দফতর পরিচালনা ও সংগঠনের যাবতীয় দলিলপত্র সংরক্ষণ করবেন।
খ) সব সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্তগুলো লিপিবদ্ধ করবেন এবং তা পরবর্তী সভায় অনুমোদন করিয়ে নিবেন। এসব দাফতরিক সিদ্ধান্ত, কার্যবিবরণী এবং দফতরের সব আসবাবপত্র, সরঞ্জামাদি, নথি সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবেন।
গ) সংগঠনের জন্য কেনা মালামাল তিনি সংগঠনের দফতরে সংরক্ষিত সম্পদ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। নতুন মালামাল কেনা হলে সেটিও তাৎক্ষণিক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ঘ) যেকোনো সংবাদ বা ঘটনার প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতি পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঙ) সব কাজের জন্য নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ওঢ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক :
ক) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে গৃহীত খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালন করবেন।
খ) ক্র্যাব সদস্যদের জন্য ইনডোর ও আউটডোর ক্রীড়ার আয়োজন করবেন।
গ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কল্যাণ তহবিলের ফান্ড সমৃদ্ধ করবেন।
ঘ) সংগঠনের সদস্য ও তাদের সন্তানদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা যেমন চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন। এ ছাড়া নির্বাহী কমিটি প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্বও পালন করবেন।
চ) সব কাজের বিষয়ে নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঢ) প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক :
ক) ক্র্যাব সদস্যদের পেশাগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলোচনা ও সিদ্ধান্তসাপেক্ষে নানাবিধ প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
খ) সব কাজের বিষয়ে নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
(ঢও) আইন ও কল্যাণ সম্পাদক :
ক) সংগঠনের কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করবেন।
খ) সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ নিবেন এবং নেতৃত্ব দিবেন।
গ) সব কাজের জন্য নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
ঘ) পেশাগত কারণে কোনো সদস্য মামলা, হামলাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে তাদের আইনি সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ঙ) বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, নিম্ন ও উচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে।
চ) সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
(ঢওও) আন্তর্জাতিক সম্পাদক :
ক) আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংগঠনের পরিচিতি বৃদ্ধির কাজ করবেন।
খ) আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করবেন।
(ঢওওও) নির্বাহী সদস্য :
ক) কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন উপকমিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ দেবেন।
গ) সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
ঘ) এই গঠনতন্ত্রের বিধানাবলিসাপেক্ষে এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ) নির্বাহী কমিটির ১ (এক) নম্বর সদস্য বাছাই কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) সব কাজের জন্য নির্বাহী কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন।
অনুচ্ছেদ নং – ১৪ : নির্বাচন পদ্ধতি :
১) কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে নির্বাচন সমাপ্ত করতে হবে।
২) নির্বাচন নিম্নোক্ত ২(দুই) ভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
(ক) সাধারণ পরিষদের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কার্যকরী পরিষদ গঠন করা যাবে।
(খ) নির্বাচন অনুষ্ঠান করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে।
৩) নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের জন্য কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে বিদ্যমান কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক সংস্থার সদস্য নহেন এমন একজন ব্যক্তি অথবা স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সংস্থার বিদ্যমান কার্যকরী কমিটির সদস্য নহেন এবং আগামীতে প্রার্থী কিংবা প্রস্তাবক ও সমর্থক হচ্ছেন না এমন ২ (দুই) জন বৈধ সদস্যকে সদস্য করে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) নির্বাচন কমিশনের ২ (দুই) জন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পুর্ণ হবে।
৫) সংস্থার সাধারণ সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আজীবন সদস্যগণ নির্বাচনে ভোটার হিসাবে বিবেচিত হবেন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখের অন্ততঃ ২০(বিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করবেন। উক্ত তফসীলে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও তারিখসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
৭) যে সকল সদস্য নির্বাচনের তারিখের কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে সদস্যপদ গ্রহণ বা নবায়ন করবেন তাদের নাম ভোটার তালিকাভূক্ত হবে এবং তারা ভোটার হিসাবে গণ্য হবেন। সংস্থার চাঁদা হালনাগাদ পরিশোধিত না থাকলে কোন সদস্যই ভোটার হতে পারবেন না। ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করলে ভোটার হওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের ভোটার তালিকাভূক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে না।
৮) নির্বাচন কমিশন সংস্থার সদস্য রেজিষ্টার বহি, নবায়ন সংক্রান্ত কাগজ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে যথাসময়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন ।
৯) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখের অন্ততঃ ২৫(পচিঁশ) দিন পূর্বে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন। খসড়া ভোটার তালিকায় কারো আপত্তি থাকলে তালিকা প্রকাশের ২(দুই) দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবরে আবেদন করা যাবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র/আবেদনপত্রসমূহ/আপত্তিসমূহ ১(এক) দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন মীমাংসা করবে।
১০) নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্ততঃ ২১(একুশ) দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখ, মনোনয়নপত্র বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, প্রতীক বরাদ্দ, নির্বাচনের তারিখ, ভোট গণনা, ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের সময় ও তারিখ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
১১) মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে আপীল করা যাবে। আবেদন প্রাপ্তির ১ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ইহা নিষ্পত্তি করে এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
১২) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলের বিরুদ্ধে কারো আপত্তি থাকলে ফলাফল ঘোষিত হওয়ার ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
১৩) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সকল প্রকার নোটিশ ও নির্বাচনী তফসীল প্রত্যেক সদস্যের নিকট ডাকযোগে বা বাহক মারফত প্রেরণ করবেন। প্রয়োজনে পত্রিকায় এতদবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেন।
১৪) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম অর্থাৎ মনোনয়নপত্র, ব্যালট পেপার ইত্যাদি প্রস্তুত করবেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্রের মূল্য, ভোটার তালিকার মূল্য এবং প্রার্থীর জামানত ফিস ইত্যাদি নির্ধারণ করবেন। বিদ্যমান কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন কমিশনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
১৫) তপসীল ঘোষিত হওয়ার পর দৈব-দুর্বিপাক বা অন্য কোন অনিবার্য কারণে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ১(এক) মাসের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ নং – ১৫ : সদস্যবৃন্দের অনুপস্থিতি :
কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য একনাগাড়ে তিনটি সভায় বিনাকারণে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। কার্যকরী পরিষদের সভায় কোন সদস্যের অনুপস্থিত থাকার কারণ ঘটলে তিনি অবশ্যই সভাপতিকে লিখিতভাবে জানিয়ে ছুটি নিতে অধিকারী থাকবেন।
অনুচ্ছেদ নং – ১৬ : শূণ্য সদস্যপদ স্থলাঙ্ককরণ :
কার্যকরী পরিষদের কোন পদ শূণ্য হলে কার্যকরী পরিষদ সদস্য বা সাধারণ সদস্যকে স্থলাঙ্ককরণ করে উক্ত শূণ্য পদ পূরণ করতে হবে। কার্যকরী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে ইহা করতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ১৭ : কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ :
কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ ০২ (দুই) বছর হবে। নতুন কার্যকরী কমিটির দায়িত্ব নেয়ার দিন থেকে তাদের কার্যকাল গণনা করা হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ১৮ : প্রশাসক নিয়োগ :
২ বছর পূর্ণ হওয়ার কমপক্ষে ৩০(ত্রিশ) দিন পূর্ব থেকেই নতুন কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে । যদি কোন অনিবার্য ও অবাঞ্চিত কারণবশত: সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয় তাহলে পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদ তাদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর আরোও অতিরিক্ত ৬ মাস কার্যভার বহন করতে পারবে। এই বর্ধিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নতুন কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করতে হবে। এরপরও নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নাহলে কার্যকরী পরিষদ আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যাবে এবং রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।
অনুচ্ছেদ নং – ১৯: কার্যকরী পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তর :
বিদায়ী কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ যে দিন শেষ হবে সেদিন কার্যকরী পরিষদের সভা আহবান করে নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের নিকট বিদ্যমান কার্যকরী পরিষদ দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। যদি প্রাক্তন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী পরিষদ ক্ষমতা হস্তান্তর না করেন তাহলে নবনির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী পরিষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতা লাভ করবেন এবং সংস্থার হিসাবপত্র ও কাগজাদি প্রাপ্তির জন্য কার্যকরী পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সংশ্লিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রাক্তন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যদের এরূপ কার্যকলাপ গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে গণ্য হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
অনুচ্ছেদ নং – ২০ : কার্যকরী পরিষদ বাতিল :
নিম্নলিখিত কারণে কার্যকরী পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে :
ক) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসাথে পদত্যাগ করলে বা অন্য কোন কারণে উভয় পদ শূণ্য হলে।
খ) একই সঙ্গে কার্যকরী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ট পদ শূণ্য হলে এবং ধারা ১৬ অনুযায়ী স্থলাঙ্ককরণ সম্ভব না হলে।
২১ । অস্থায়ী সদস্য :
ক) নতুন সদস্য পদ পাওয়া অপরাধবিষয়ক রিপোর্টাররা সদস্যপদ প্রাপ্তির দিন থেকে ১ (এক) বছর পর্যন্ত সংগঠনের অস্থায়ী সদস্য থাকবেন। এ সময়ের মধ্যে তার ব্যক্তিগত আচার-আচরণ ও রিপোর্টিংয়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে কার্যনির্বাহী কমিটি। এক বছরের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত না হলে তিনি সংগঠনের স্থায়ী সদস্য হওয়ার যোগ্য হবেন। এ সময়ের মধ্যে কোনো অস্থায়ী সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে কার্যনির্বাহী কমিটি তদন্তপূর্বক বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। পরে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তাকে আবেদন করতে হবে। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী কমিটি তাকে স্থায়ী সদস্য পদের চিঠি দিবেন।
খ) এক বছর অস্থায়ী সদস্য থাকাকালীন কোনো সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ কিংবা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে সংগঠনের অন্য সব অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর স্থায়ী সদস্য পদের চিঠি পেলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
২২। সম্মানিত সদস্য :
ক) যেসব সদস্য সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে কিংবা দীর্ঘকাল ধরে সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন, সংগঠনের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, কিন্তু বর্তমানে পেশা থেকে অবসরে আছেন, তারা এই সংগঠনের সম্মানিত সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তারা ক্র্যাবের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নির্বাচন করতে পারবেন না।
খ) অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং দিয়ে শুরু করে কোনো সদস্য পদোন্নতি পেয়ে গণমাধ্যমের যে দায়িত্বেই আসীন হোন না কেন, তার সদস্য পদ কিংবা ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না। তিনি অন্যান্য স্থায়ী সদস্যের মতোই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
২৩। প্রয়াত ক্র্যাব সদস্যদের পরিবারবর্গ :
ক) প্রয়াত সদস্যদের পরিবারকে ক্র্যাব আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। (পরিবার বলতে সদস্যের স্ত্রী ও সন্তানদের বুঝাবে)। একই সঙ্গে এসব পরিবার যদি কখনো বিপদে কিংবা দুর্দশায় পতিত হয়ে ক্র্যাবের সাহায্যপ্রার্থী হন, তা হলে ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটিকে ওই পরিবারের সাহায্যে পাশে দাঁড়াতে হবে। পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা ও সহায়তা দিবে।
২৪। বিট পরিবর্তন বা চাকরিতে বহাল না থাকা :
ক) কোনো সদস্যের চাকরি না থাকলেও তিনি অন্য কোনো পেশায় যুক্ত না হলে তার সদস্য পদ স্থগিত করা যাবে না। যদি তিনি সাংবাদিকতাবহির্ভূত কোনো পেশায় যুক্ত হন, সেক্ষেত্রে তার সদস্য পদ স্থগিত কিংবা বাতিল হয়ে যাবে। যাদের সদস্য পদ স্থগিত হয়ে যাবে, তারা সংগঠনের কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
খ) কোনো সদস্য যদি সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম ছেড়ে অন্য কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োজিত হন; তার সদস্য পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রেও দুই বছর পরপর কার্যনির্বাহী কমিটি পর্যালোচনা করে সদস্য পদ স্থগিতের বিষয়টি চিঠি দিয়ে কিংবা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিয়ে অবহিত করবেন।
২৫। শৃঙ্খলা বিধান :
ক) সংগঠনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি শৃঙ্খলা উপকমিটি গঠিত হবে। সংগঠনের একজন সাবেক সভাপতি কিংবা সহ-সভাপতি কমিটির আহ্বায়ক এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হবেন সদস্য সচিব। শৃঙ্খলা উপকমিটির বাকি ৩ (তিন) সদস্য বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে থেকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
খ) কোনো সাধারণ সদস্য বা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠন বা গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ কিংবা নৈতিকতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে কার্যনির্বাহী কমিটি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য শৃঙ্খলা উপকমিটির কাছে পাঠাবেন।
গ) কোনো সাধারণ বা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের কারণে মামলা হলে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশে শৃঙ্খলা উপকমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করবেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত সদস্যের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যাবে। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে ওই সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে নির্দোষ প্রমাণিত হলে আদালতের রায়ের ‘সার্টিফায়েড কপি’ দাখিলসাপেক্ষে তার সদস্য পদ স্বাভাবিকভাবেই পুনর্বহাল হবে। এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ঘ) ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার, হোয়াটসআ্যাপ, ইমো, টেলিগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো গ্রুপ বা মাধ্যমেই সংগঠন, কার্যনির্বাহী কমিটি কিংবা কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা কিংবা বিষোদগার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে কারো প্রতি কেউ ক্ষুব্ধ কিংবা বিরাগ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ নিয়মে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটি বিষয়টি শৃঙ্খলা উপকমিটির কাছে পাঠাবেন। শৃঙ্খলা উপকমিটি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কার্যনির্বাহী কমিটিকে সুপারিশ করবেন।
ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটির কাছ থেকে অভিযোগ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে শৃঙ্খলা উপকমিটি তদন্ত শেষ করবেন। চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনে ৭ (সাত) দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ (পনেরো) দিন সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। এই সময়সীমা বাড়াতে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
চ) শৃঙ্খলা উপকমিটি অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করবেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অভিযুক্ত সদস্যকে কারণ দর্শাও নোটিশ অথবা মৌখিক বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেবেন। অভিযোগটি যথার্থ কি না সে ব্যাপারে প্রয়োজনে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করবেন। অভিযুক্তের বক্তব্য লিপিবদ্ধ, অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করবে শৃঙ্খলা উপকমিটি। পরবর্তীতে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিচার-বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা উপকমিটি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।
ছ) তদন্ত প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত সদস্য যদি দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার অপরাধ যদি লঘু হয়, সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি তাকে প্রথমবারের মতো সতর্ক অথবা তার সদস্যপদ সাময়িক মেয়াদের জন্য স্থগিত করার সুপারিশ করতে পারেন। তবে এই স্থগিতাদেশ মেয়াদ কোনোভাবেই ৩ (তিন) মাসের বেশি হবে না। অন্য দিকে অপরাধ যদি গুরুতর হয় এবং বিষয়টি যদি সংগঠনের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার শামিল বলে প্রতীয়মান হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে শৃঙ্খলা উপকমিটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ এক বছরের জন্য স্থগিত বা বাতিলপূর্বক তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি সভা আহ্বান করে তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। গুরুতর অপরাধে কার্যকর করা শাস্তির বিষয়টি বার্ষিক সাধারণ সভা কিংবা বিশেষ সাধারণ সভায় (এজিএম ও ইজিএম) উপস্থাপন করে তা অনুমোদন করে নিতে হবে।
জ) অভিযুক্ত সদস্য অভিযোগের বিষয়ে যদি ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে লিখিত বা মৌখিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি না হন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে অভিযুক্ত সদস্য আত্মপক্ষ সমর্থনে রাজি নন। সেক্ষেত্রে শৃঙ্খলা উপকমিটি একতরফাভাবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবেন।
ঝ) সতর্ক, স্থগিত ও বহিষ্কার যেকোনো ধরনের বিধিগত ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেন, তা অভিযুক্ত সদস্যকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
ঞ) অভিযুক্ত সদস্য তার বিরুদ্ধে নেওয়া বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে আপিল করা যাবে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিতভাবে এই আপিল করতে হবে। কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। অভিযুক্ত সদস্যের আপিল মঞ্জুর করা হবে, নাকি খারিজ করা হবে, তার সম্পূর্ণ এখতিয়ার থাকবে কার্যনির্বাহী কমিটির। আপিল গৃহীত হলে কমিটি শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ সময়ে আপিল করা হয়, তাহলে এ বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
ট) কোনো অভিযোগের বিষয়ে শৃঙ্খলা উপকমিটির প্রণীত তদন্তের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। তবে সাধারণ সদস্যরা যদি তদন্ত রিপোর্ট দেখতে চান, তা বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা যেতে পারে। তদন্তকালে তথ্য প্রকাশ হলে এর জন্য সংশ্লিষ্ট কারো স্পষ্ট ভূমিকা পাওয়া গেলে তাকে তদন্ত দল বা টিম থেকে বাদ দিতে হবে।
ঠ) সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য যদি পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন তবে অনুপস্থিত সদস্য বা সদস্যদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। উপস্থিত কমিটির সদস্যরা সভায় মিলিত হয়ে দফতর সম্পাদকের স্বাক্ষরে ওই কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করবেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব যদি সন্তোষজনক বা অবজ্ঞামূলক হয় বা অনুপস্থিত সদস্য বা সদস্যরা যদি নোটিশের জবাব না দেন, তাহলে অনুপস্থিত সদস্য বা সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে জরুরি সভা ডেকে কার্যনির্বাহী কমিটির উপস্থিত সদস্যরা অনুপস্থিত সদস্য বা সদস্যদেরকে অপসারণের ব্যবস্থা নেবেন।
ড) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্যদের কেউ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদফতর, দফতর ও সংস্থাভিত্তিক কোনো সংগঠন গঠন করলে কিংবা সেই সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহণ করলে তার সদস্য পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সদস্য যৌক্তিক প্রমাণপত্র দাখিল করে সদস্য পদ ফিরে পেতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি তার আবেদন যাচাই-বাছাইসাপেক্ষে সদস্য পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার বা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর ও অধিদফতরগুলো উল্লেখ করা হলো : পুলিশ অধিদফতর ও সব ইউনিট, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, কারা অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড, এনআইডি, তদন্ত সংস্থা ও অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এনটিএমসি। ভবিষ্যতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন আর কোনো দফতর, অধিদফতর ও সংস্থা গঠিত হলে সেগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত হবে
২৬। কল্যাণ তহবিল :
ক) সংগঠনের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের জন্য একটি স্থায়ী কল্যাণ তহবিল থাকবে। সব সদস্য হবে এই কল্যাণ তহবিলের দাবিদার। এই তহবিলের জন্য পৃথক একটি স্থায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে। কল্যাণ তহবিলের হিসাব পরিচালনার জন্য অর্থ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৩ (তিন) সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কমিটির অন্য দু’জন সদস্য মনোনীত হবেন নির্বাহী কমিটি থেকে। অর্থ সম্পাদক, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক এবং একজন মনোনীত সদস্য পৃথক কল্যাণ তহবিলের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।
খ) কল্যাণ তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব পৃথক রেজিস্টারে সংরক্ষণ করতে হবে। কল্যাণ তহবিলের মাসিক চাঁদা হবে ২৫ (পঁচিশ) টাকা; যা সদস্যদের মাসিক চাঁদার সঙ্গে সংগ্রহ করা হবে।
গ) কল্যাণ তহবিল সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যাবে।
ঘ) কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সদস্যদের কাছে পৃথকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
ঙ) সব ক্যাটাগরির সদস্যরা কল্যাণ তহবিলে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সাধারণ সদস্যদের মতো সব সদস্য কল্যাণ তহবিলের সুযোগ-সুবিধার অধিকারী হবেন। তবে শর্ত থাকবে, কল্যাণ তহবিলে নিয়মিত চাঁদা পরিশোধকারী সদস্যরাই শুধু কল্যাণ তহবিলের সুবিধা ভোগ করবেন।
চ) কোনো সদস্য বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, অর্থের অভাবে কোনো সদস্যের সন্তানের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটলে, কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তিনি বা তার পরিবারের সদস্যরা কল্যাণ তহবিলের আর্থিক সুবিধা পাবেন। এখানে পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতা গণ্য হবেন।
ছ) কল্যাণ তহবিলের আর্থিক সুবিধা পেতে হলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। সভাপতি আবেদনটি বিবেচনার জন্য কল্যাণ তহবিলের জন্য গঠিত কমিটির কাছে পাঠাবেন। কমিটি আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে সুপারিশসহ পাঠাবেন। কমিটি আর্থিক সহায়তার বিষয়টিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। তবে মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের পরিবারকে লিখিত আবেদন করতে হবে না। এ ব্যাপারে কল্যাণ তহবিলের জন্য নির্ধারিত কমিটি ও কার্যনির্বাহী কমিটি সম্মিলিতভাবে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দানের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
জ) আর্থিক সহায়তা দানের বিষয়টি সুপারিশ করবে কল্যাণ তহবিলের জন্য গঠিত কমিটি। তারা আর্থিক সহায়তা দানের বিষয়টি সুপারিশ করে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে পাঠাবে। কার্যনির্বাহী কমিটি বিবেচনা অনুযায়ী সুপারিশ মঞ্জুর করবেন। তবে সদস্যের বাইরে কাউকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যাবে না।
অনুচ্ছেদ নং – ২৭ : সংস্থার তহবিল :
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে সংস্থার তহবিল গঠন করা যাবে।
১) সদস্যবৃন্দের চাঁদা ।
২) নিজস্ব আয়বর্ধক প্রকল্প থেকে তহবিল বৃদ্ধি।
৩) সরকারী অনুদান
৪) আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অনুদান।
৫) বার্ষিক মিলাদ মাওফিলের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ।
৬) কার্যকরী পরিষদ অন্যান্য বৈধ পন্থা অবলম্বন তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে।
৭) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের মুনাফা ।
৮) বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত অর্থ।
অনুচ্ছেদ নং – ২৮ : নগদ সংরক্ষণ ও একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন :
দৈনন্দিন খরচ মিটানোর জন্য সর্বোচ্চ ৫০০০/= ( পাঁচ হাজার ) টাকা নগদ হাতে রাখা যাবে। এর বেশী অংকের অর্থের প্রয়োজন হলে তা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে হবে। তবে এই অর্থের পরিমাণ ২০,০০০/= ( বিশ হাজার ) টাকার বেশী হলে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন নিয়ে তা উত্তোলন করা যাবে। খরচকৃত অর্থ কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক যথাযথভাবে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ২৯ : তহবিল পরিচালনা :
১) বাংলাদেশের তফসিলভূক্ত যে কোন ব্যাংকে সংস্থার নামে এক বা একাধিক চলতি অথবা সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যাবে।
২) সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক( পরস্পর আত্মীয় হলে হবে না ) এই তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাব খোলা হবে এবং তাদের মধ্যে যে কোন দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩০: আয়-ব্যয় নিরীক্ষা পদ্ধতি :
সংস্থার আয় – ব্যয়ের হিসাব প্রতি আর্থিক বছরের শেষে প্রস্তুত করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কোন সনদপ্রাপ্ত হিসাব পরীক্ষক বা হিসাব নিরীক্ষক কিংবা সরকার অনুমোদিত চাটার্ড একাউন্টস ফার্ম কিংবা নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত যে কোন কর্মকর্তার মাধ্যমে নিরীক্ষা করতে হবে। নিরীক্ষীত হিসাব ৬(ছয়) মাসের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩১ : কর্মচারী নিয়োগ :
১) সংস্থার কাজের প্রয়োজনে কখনো কর্মকর্তা / কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সাধারণ পরিষদে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদবী, বেতন-ভাতাদিসহ যাবতীয় বিষয়ের অনুমোদন নিয়ে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে হবে। নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর বহুল প্রচার বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যথাসম্ভব সরকারী নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে কর্মকর্তা / কর্মচারী নিয়োগ করা যাবে।
২) কার্যকরী পরিষদ হবে কর্মকর্তা ও কর্মচারী উভযের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ।
৩) কার্যকরী পরিষদ একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করবে। নিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি রাখতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩২ : কর্মচারী পরিচালনা :
সাধারণ পরিষদ কর্মচারী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন করার অধিকারী থাকবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৩ : প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা :
সাধারণ পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন করার অধিকারী থাকবে ।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৪: বর্ষ :
খ্রিষ্ট বর্ষ সংস্থার বর্ষ হিসাবে গণ্য করা হবে। কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকাল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় খ্রিষ্ট বর্ষে হিসাব করা হবে। তবে সংস্থার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে খ্রিষ্ট সনের পাশাপাশি বাংলা সনও ব্যবহার করা যাবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৫ : সভার নিয়মাবলী :
( ক ) সাধারণ পরিষদ সভা : সাধারণত: প্রতি এক বছর অন্তর অন্তর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনবোধে এক বছরের আগেও সভা আহবান করা যাবে। এই সভাতে পূর্ববর্তী বছরের কার্যকরী পরিষদের সম্পাদিত কার্যক্রমের প্রতিবেদন, আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং পরবর্তী বছরের জন্য বাজেট পেশ ও অনুমোদন ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পন্ন করা হবে। কমপক্ষে ১৫ (পনের ) দিনের নোটিশে উক্ত সভা আহবান করা যাবে। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সাধারণ সম্পাদক সভার লিখিত নোটিশ জারী করবেন। এই সভার কোরাম ১/২( দুই ভাগের এক ভাগ ) এর অধিক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ হবে। সভাপতি সাধারণ সভাসহ সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। গঠনতন্ত্র সংশোধনী সংক্রান্ত সাধারণ সভার কোরাম ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ ) সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ হবে।
( খ ) কার্যকরী পরিষদ সভা : সাধারণত: প্রতি ৩ (তিন) মাসে কার্যকরী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনবোধে ৩ (তিন) মাসের আগেও সভা আহবান করা যাবে। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সাধারণ সম্পাদক সভার স্থান, তারিখ ও আলোচ্য বিষয় উল্লেখপূর্বক লিখিত নোটিশ জারী করবেন। কমপক্ষে ৭ (সাত ) দিনের নোটিশে উক্ত সভা আহবান করা যাবে। এই সভার কোরাম ১/২( দুই ভাগের এক ভাগ ) এর অধিক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ হবে।
(গ) জরুরী সভা :
(১) সাধারণ পরিষদের জরুরী সাধারণ সভা কমপক্ষে ৭ (সাত ) দিনের নোটিশে এবং অতি জরুরী সাধারণ সভা কমপক্ষে ৩ (তিন ) দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান করবেন। এই সভার কোরাম ১/২( দুই ভাগের এক ভাগ ) এর অধিক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ হবে।
(২) কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভা কমপক্ষে ৩ (তিন) দিনের নোটিশে এবং অতি জরুরী সভা কমপক্ষে ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সাধারণ সম্পাদক এই সভা আহবান করবেন। উক্ত সভার কোরাম ১/২( দুই ভাগের এক ভাগ ) এর অধিক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ হবে।
(ঘ) তলবী সভা : সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন কোন সভা আহবান না করলে সাধারণ পরিষদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য লিখিতভাবে নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীর ভিত্তিতে সভা আহবানের জন্য সভাপতিকে অনুরোধ করবেন। সভাপতি উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সভা আহবান না করলে সাধারণ পরিষদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য উক্ত নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীর উপর সভা আহবানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করবেন। উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান করতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদের উক্ত সদস্যবর্গ তলবী সভা আহবান করে সভা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন এবং উক্ত সভায় উপস্থিত সদস্যের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে নোটিশে বর্ণিত আলোচ্যসূচী ছাড়া অন্যান্য কোন বিষয়ে আলোচনা করা যাবে না।
(ঙ) মূলতবী সভা :
কার্যকরী পরিষদের সভা, সাধারণ পরিষদ সভা, গঠনতন্ত্র সংশোধনী সাধারণ সভা বা জরুরী সভা কোরাম পূর্ণ না হওয়ার কারণে বা অন্য কোন কারণে মূলতবী হলে উক্ত সভা পরবর্তী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে অবশ্যই একই আলোচ্যসূচীর উপর অনুষ্ঠিত হবে। যদি উক্ত সভা কোরামের অভাবে মূলতবী হয় তবে পরবর্তী সভায় কোরাম পূর্ণ না হলেও সভা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বৈধ বলে গণ্য হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৬ : অনাস্থা প্রস্তাব :
কার্যকরী পরিষদের বিরুদ্ধে কোন অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ লিখিত আকারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট জমা দিতে হবে সেই সঙ্গে একটি তলবী সভা আহবানের ব্যবস্থা করতে হবে। উক্ত সভায় পরিষদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কমিটিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সূযোগ দিতে হবে। অতঃপর অনাস্থা ভোট গ্রহণ করা হবে। সভায় উপস্থিত সদস্যের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ ) সদস্য অনাস্থা ভোট প্রদান করলে উক্ত কার্যকরী পরিষদ বাতিল হয়ে যাবে এবং এর পরপরই উপস্থিত সদস্যবর্গ পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ৫ (পাঁচ ) সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি( এক জন আহবায়ক এবং বাকী চার জন সদস্য) গঠন করবে। উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি ৯০ (নব্বই ) দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতঃ নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। কোন কারণে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা সম্ভব না হলে এ বিষয়ে রেজিষ্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৭ : পদত্যাগ :
সাধারণ পরিষদের কোন সাধারণ সদস্য অথবা কার্যকরী পরিষদের কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি কার্যকরী পরিষদের সভাপতির নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। সভাপতি পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি সাধারণ সম্পাদকের নিকট পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। কার্যকরী পরিষদের পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। কার্যকরী পরিষদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য/ কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করলে কার্যকরী পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদকে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৮ : চাঁদা আদায় রসিদ বহি সংরক্ষন :
১) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত ছাপানো রসিদ বহির মাধ্যমে চাঁদা বা যে কোন আর্থিক অনুদান গ্রহণ
করতে হবে।
২) রসিদ বহি বিতরণের সুনির্দিষ্ট রেজিস্টার থাকবে। চাঁদা আদায়কারী উক্ত রেজিস্টারে সই করে রসিদ বহি গ্রহণ করবেন।
৩) রসিদ বহি হারানো গেলে তৎক্ষনাৎ লিখিতভাবে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদককে জানাতে হবে। হারানোর কারণ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে বিষয়টি পরবর্তী কার্যকরী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে। কার্যকরী পরিষদ এ ক্ষেত্রে প্রযোজনীয় সিদ্ধান্ত নিবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৩৯ : গঠনতন্ত্রের সংশোধন :
গঠনতন্ত্রের কোন বিষয়ের উপর সংশোধনী আনয়নের প্রয়োজনীতা দেখা দিলে উক্ত সংশোধনী প্রস্তাব/ প্রস্তাবাবলী সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে হবে। সাধারণ পরিষদের ২/৩ ( দুই তৃতীয়াংশ ) সদস্যের অনুমোদনক্রমে তা গৃহীত হবে। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের সংশোধনী নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হবে এবং তা অনুমোদিত হলেই গঠনতন্ত্রের সংশোধন হিসাবে কার্যকর হবে।
অনুচ্ছেদ নং – ৪০ : কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন :
প্রতিবার নির্বাচনের পরপর নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কার্যকরী কমিটি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় উক্ত কমিটির কার্যক্রম বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
অনুচ্ছেদ নং – ৪১ : বিলুপ্তি :
কোন সুনির্দিষ্ট কারণে সংস্থার সাধারণ পরিষদের মোট সদস্যের ৩/৫ ( পাঁচ ভাগের তিন ভাগ) সদস্য যদি এর বিলুপ্তি চান তবে যথানিয়মে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। সংস্থার বিলুপ্তির বিষয়ে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। এক্ষেত্রে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংস্থার সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি একই ধরণের সক্রিয় অন্য কোন সংস্থার কাছে হস্তাস্তর করা যাবে। এ বিষয়ে জটিল যে কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
সমাপ্ত